ত্রিসন্ধ্যা নাকি দ্বিসন্ধ্যা পবিত্র বেদে কি উপদেশ আছে
বৈদিক উপাসনা |
উত্তরঃ অবশ্যই দ্বিসন্ধ্যা করা উচিত, তিন কালে সন্ধি হয় না। আলোক এবং অন্ধকারের সন্ধি সায়ং ও প্রাতঃ এই দুই কালেই হইয়া থাকে। যিনি ইহা মানিয়া মধ্যাহ্নকালে তৃতীয় সন্ধ্যা মানেন, তিনি মধ্যরাত্রিতেও উপাসনা করেন না কেন? যদি মধ্য রাত্রিতে সন্ধ্যা করিতে ইচ্ছা করেন, তবে প্রতি প্রহরে, প্রতি ঘটিকায়, প্রতি পলে এবং প্রতিক্ষণেও সন্ধি হইয়া থাকে তখনও সন্ধ্যোপাসনা করিতে থাকুন। যদি এইরূপ করিতে ইচ্ছা করেন, তবে তাহা হইতেই পারে না। এ ব্যাপারে বেদের প্রমান দেখুন→
স ঘা নো দেবঃ সবিতা সাবিষদমৃতানি ভুরি।
উভে সুষ্টুতী সুগাতবে।।
(অথর্ববেদ ৬.১.৩)
পদার্থঃ (সঃ) তিনি (দেবঃ) প্রকাশময় (সবিতা) প্রেরক প্রভু (ঘ) নিশ্চয়ই (নঃ) আমাদের জন্য (ভুরি) শ্রেষ্ঠ (অমৃতানি সাবিষৎ) অমৃতত্ব প্রাপ্ত করান - আমাদের রোগমুক্ত করেন। (উভে) দ্বিসন্ধ্যা (সুষ্টুতী) উত্তম স্তুতির - প্রাতঃ ও সায়ংকালীন স্তুতির দ্বারা (সুগাতবে) উত্তমরুপে গান করার জন্য প্রভু আমাদের নিরোগ করেন।
মন ই আমাদের উপসনালয়।আর তাতে সৎচিন্তা,ঈশ্বরচিন্তা থাকা ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থনা।আর দিনরাত কিছুক্ষণ পরপর লোক দেখানো প্রার্থনা করে দৈনন্দিন সকল কাজে বিঘ্ন করা সনাতনের কাজ নয়।এজন্যই সনাতন পূর্ণাঙ্গ ও প্রকৃষ্ট জীবনবিধি।
মানবজাতির সংবিধান পবিত্র বেদে ধ্যনে প্রাপ্ত ঐশ্বরিক জ্ঞান ঋষি উক্ত করছেন এভাবে-
উপত্বাগ্নে দিবে দিবে দোষাব স্তর্ধিয়া বয়ন্।
নমো ভরন্ত এমসি।।
ঋগ্বেদ ১/১/৭; সামবেদ- পূর্ব্বার্চিক ১/২/৪
পদার্থঃ — হে পরমাত্মা! আমরা প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় বুদ্ধি ও কর্ম্মদ্বারা ভক্তির প্রণতি নিয়ে তোমার নিকট আসি।
অর্থাৎ সনাতন ধর্মে প্রতিদিন দুবার করে সকালে ও সন্ধ্যায় প্রার্থনা করা নিয়ম।